ইহরাম বাধা অবস্থায় যে সব কাজ করা নিষেধ।
ইহরাম বাধা অবস্থায় যে সব কাজ করা নিষেধ।
হজের প্রথম রুকন ইহরাম। ইহরাম ছাড়া হজ কল্পনাই করা যায় না। ইহরামের মাধ্যমেই মানুষ হজ ও ওমরার কাজ শুরু করে। নামাজের তাকবিরে তাহরিমার মতো ইহরামের দ্বারাই স্বাভাবিক অবস্থার বৈধ কাজসহ অবৈধ সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
ইহরাম বাধার পর হজ ও ওমরাকারীর জন্য কিছু নিষিদ্ধ ও বর্জনীয় কাজ রয়েছে। ইহরামকারীদের জন্য নিষিদ্ধ ও বর্জনীয় কাজগুলো হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য তুলে ধরা হলো-
ইহরামকারীর জন্য যা নিষিদ্ধ বা বর্জনীয়
>> হজ বা ওমরায় গমণকারী স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর যৌন সম্ভোগ ও এ সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা করা নিষেধ।
>> পুরুষের জন্য সেলাইযুক্ত কাপড় দুটি কাপড় এবং স্ত্রীলোকদের জন্য শালীন ও রুচিশীল স্বাচ্ছন্দ্য পোশাক পরিধান করা।
>> ইহরাম অবস্থায় মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা যাবে না। তবে স্ত্রীলোকগণ মাথা ঢাকতে পারেন তবে মুখ অনাবৃতই থাকবে।
>> ইহরামের পর সুগন্ধি ব্যবহার করা। কাপড় থেকে ইহরামের আগে ব্যবহৃত সুগন্ধির ঘ্রাণে কোনো সমস্যা নেই।
>> ইহরাম অবস্থায় চুল বা পশম কাটা বা উপড়ানো যাবে না।
>> নখ কাটা যাবে না; তবে ভাঙ্গা নখ ভেঙ্গে ফেলায় ক্ষতি নেই।
>> কোনো স্থলজ পশু শিকার করা। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! ইহরামরত অবস্থায় শিকার করো না। (সূরা মায়িদা : আয়াত ৯৫) এমনকি শিকারকে হাঁকানো বা অন্যকে শিকারের কাজে সহযোগিতা করা বা যবেহ করাও নিষেধ।
>> নিজের শরীর বা মাথা থেকে উকুন বা উকুন জাতীয় প্রাণী বধ করা যাবে না। তবে সাপ, মশা-মাছি, ডাশ, গিরগিটি, ইঁদুর, পাগলা কুকুর ইত্যাদি মারার বৈধতা রয়েছে।
ইহরাম হলো হজ ও ওমরার জন্য প্রথম শর্ত। যা ভঙ্গ হয়ে গেলে হজ ও ওমরা আদায় হবে না। হজ ও ওমরা পালনেচ্ছুদেরকে যথাযথভাবে হজ ও ওমরা আদায়ে ইহরামের নিষিদ্ধ ও বর্জনীয় বিষয়ের প্রতি যত্নবান হওয়া জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব হজ ও ওমরা পালনকারীদেরকে ইহরামের যাবতীয় বিষয়গুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
কোন মন্তব্য নেই