হজ্জের বিধানসমূহ (হজ্জের নিয়মকানুন)
হজ্জের বিধানসমূহ (হজ্জের নিয়মকানুন)
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ একটি। প্রতিটি সামর্থ্যবান মুসলমানের উপর মহান আল্লাহ তা’য়ালা হজকে ফরয করেছেন। তাই আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনে প্রতি বছর ধর্মপ্রাণ কোটি কোটি মুসলমান জিলহজ মাসে আরাফাতের ময়দানে একত্রি হন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই আমলটির জন্য তাই প্রতিটি মুসলমানকে এর সঠিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে অবহিত হতে হবে।
অনেকেই হজের নিয়ম কানুনগুলোকে কঠিন মনে করেন। মূলত হজ জীবনে মাত্র একবার করার কারণেই হজের সহজ নিয়মগুলো কঠিন মনে হয়। উদাহরণসরূপ বলা যায় একজন সাধারণ মুসল্লির কাছে সূরা ‘কাফিরুন’কে সূরা ফাতিহার চেয়ে কঠিন মনে হয় এ কারণে, সূরা কাফিরুন সব নামাজে পড়তে হয় না বা পড়াও হয় না। আবার নামাজের মাসয়ালা বেশ কঠিন ও বিস্তৃত হওয়ার পরেও অব্যাহত প্রচেষ্টা ও দিনে পাঁচবার অনুশীলনের কারণে মাদরাসায় শিক্ষিত নয় এমন একজন স্বল্পশিক্ষিত সাধারণ নামাজিরও তা আয়ত্তে এসে যায়। কিন্তু হজের বিষয়টি ভিন্ন। যে স্বল্পসংখ্যক লোকের ওপর হজ ফরজ হয়, তাদের অনেকেই সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং বয়সের শেষভাগে হজের প্রাক্কালে এ চিন্তাভাবনা ও অনুশীলন শুরু করেন।
হজের ফরজ ওয়াজিব সুন্নাত মুস্তাহাব সব একত্র করে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যে, শেষ পর্যন্ত উচ্চপদস্থ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাও হুজুরের কাছে এসে বলেন, ‘হুজুর, সাথে নিয়ে আমাকে কাজগুলো সম্পাদন করিয়ে দেবেন’। অনেকে আবার কোথায় কোন দোয়া পড়তে হবে তা নিয়ে পেরেশান হয়ে যান এবং মুখস্থ করা শুরু করেন। অথচ এ দোয়ার বেশির ভাগই মুস্তাহাব। মুখস্থ না হলে কোনো গোনাহ নেই। অথচ একটি ফরজ বাদ পড়লে হজ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে, একটি ওয়াজিব বাদ পড়লে একটি ক্ষতিপূরণমূলক কোরবানি (দম) দিতে হবে।
অনেক হাজী সাহেবকে জিজ্ঞাসা করে দেখেছি তারা এগুলো বলতে পারেন না অথচ রুকনে ইয়ামানিতে কী দোয়া পড়তে হবে, সাফা-মারওয়া পাহাড়ে কী পড়তে হবে তা মুখস্থ করেছেন এবং সব সময় চর্চা করছেন। অথচ ওই দোয়া পড়তে না পারলে হজের মৌলিক কোনো ত্রুটি হবে না কিন্তু একটি ফরজ বাদ পড়লে বা কোনো কারণে বাদ পড়া ওয়াজিবের ক্ষতিপূরণ আদায় না করলে হজ নষ্ট হয়ে যাবে, হাজার মাইল সফরের কষ্ট পণ্ডশ্রম হবে, পুরো হজ সম্পাদনের খরচ পানিতে যাবে, জীবনের একটি ফরজ অসমাপ্ত থেকে যাবে। কাজেই এত বড় ক্ষতি না চাইলে অন্যের ওপর ভরসা বাদ দিয়ে সংক্ষিপ্ত অথচ স্বচ্ছ জ্ঞানের বর্ম পরিধান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞ আলেমদের জ্ঞান ও সহযোগিতা আপনার অর্জিত জ্ঞানকে আরো শানিত করবে।
কোনোক্রমেই অন্ধের পথ চলার মতো চলা যাবে না। এ জন্য পবিত্র হজে গমেনেচ্ছুদের খেদমতে কয়েকটি কথা বিনীতভাবে উপস্থাপন করতে চাই।
এক. হজবিষয়ক একটি প্রামাণ্য বই আপনি ঞঊঢঞ ইঙঙক হিসেবে গ্রহণ করুন। প্রথমেই একাধিক বই পড়লে কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। দুই. সহজে বহনযোগ্য একটি ডায়েরি বা নোটখাতায় হজের ফরজ-ওয়াজিবগুলো নোট করুন। তিন. মক্কায় পৌঁছার পর প্রথমেই আপনাকে কী করতে হবে নোট করুন। চার. হজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত (৮ জিলহজ-১২ জিলহজ) পাঁচ দিনের কাজগুলোকে ধারাবাহিকভাবে জানুন এবং সংক্ষেপে নোট করুন। পাঁচ. হজ থেকে বিদায়ের (মক্কা থেকে বিদায়) সময়ের করণীয় কাজগুলো জানুন এবং নোট করুন।
উপরিউক্ত পাঁচটি বিষয়ে অধ্যয়ন ও সংক্ষিপ্ত নোট করার পর আপনি হজ সংক্রান্ত আরো দু-চারটি বই পড়–ন এবং আগে হজ করেছেন এমন আলেম বা বিজ্ঞ হাজীর সাথে অর্জিত জ্ঞানের বিষয়ে মতবিনিময় করুন। এতে আপনার জ্ঞান আরো বাড়বে এবং আপনার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাবে। শুধু তা-ই নয়, আপনি আপনার বস্তুনিষ্ঠ স্বচ্ছ জ্ঞানের মাধ্যমে অন্যকেও উপকার করে অশেষ সওয়াবের অধিকারী হতে পারবেন। কিন্তু নিজের মধ্যে জ্ঞান না থাকলে অন্যের ওপর ভরসা করে রওয়ানা হলে যেকোনো ভুল বা সমস্যার জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
হজের ফরজ :
এক. হজের নিয়ত করে হজের পোশাক (সেলাইবিহীন দুই প্রস্থ সাদা কাপড় পুরুষদের জন্য) পরিধান করা ও তালবিয়া (লাব্বাইকা ... লা শারিকালাক) একবার পড়া। এটাকে ইহরাম বলে। দুই. ৯ জিলহজ আরাফায় অবস্থান করা (কিছু সময়ের জন্য হলেও)। যদি কোনো কারণে হাজী ৯ জিলহজের দিনে অথবা রাতে আরাফাতে পৌঁছতে না পারেন, তাহলে তার হজ হবে না। তিন. জিয়ারতের তাওয়াফ বা ফরজ তাওয়াফের প্রথম চার চক্কর ফরজ, বাকি তিন চক্কর ওয়াজিব। এ তওয়াফ ১০ জিলহজ করতে হয়। ১১-১২ তারিখেও এ তাওয়াফ করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। চার. এ ফরজগুলো নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্ধারিত ক্রমানুসারে আদায় করা।
উল্লেখ্য, উপরি উক্ত চারটি ফরজের কোনো একটি বাদ পড়লে হজ হবে না।
হজের ওয়াজিব :
১. সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে দ্রুত চলা। বর্তমানকালে হাজীদের সুবিধার জন্য এ পথের মাঝে খুব সহজে চোখে পড়ার মতো, মাথার ডানে-বামে ও ওপরে সবুজ বাতির দু’টি বেষ্টনী আছে। এই দুই বর্ডার লাইনের মধ্যে দৌড়ালেই ওয়াজিব আদায় হবে। সাফা-মারওয়ার মধ্যবর্তী বাকি অংশে হেঁটে চলতে দোষ নেই। এ দ্রুত চলাকে সায়ি বলে। ২. মুজদালিফায় অবস্থান করা। ৯ জিলহজ (আরাফাতে অবস্থানের দিন) দিবাগত রাতের যেকোনো সময়ে সেখানে পৌঁছানো এবং সূর্যোদয় পর্যন্ত সেখানে কিছু সময় অবস্থান করা। ৩. শয়তানের স্তম্ভে (জুমরাত) পাথর মারা। এটাকে ‘রামি’ বলে। ৪. মক্কা শরিফের চতুর্দিকে ইহরাম বাঁধার যে নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে, সেই পরিসীমার বাইরে যারা অবস্থান করে তাদের জন্য মক্কা শরিফে প্রবেশ করার পর সর্বপ্রথম খানায়ে কাবার তওয়াফ করা। বাংলাদেশী হাজীদের জন্য এ তওয়াফ ওয়াজিব। এ প্রাথমিক তাওয়াফকে ‘তাওয়াফে কুদুম’ বলে। ৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। খানায়ে কাবা থেকে শেষ বিদায়ের সময় (হজ থেকে ফেরার দিন) তাওয়াফ করা। এটা বহিরাগতদের জন্য ওয়াজিব, কাজেই এ দেশী হাজীদের এ তাওয়াফ ওয়াজিব। ৬. মাথা মুড়ানো বা চুল ছাঁটা। হজের আরকান শেষ করার পর মাথা মুড়িয়ে ফেলা অথবা চুল ছাঁটা। ১০ জিলহজ শয়তানের বড় স্তম্ভে (জুমরাতে উকবায়) পাথর মারার পর মাথা মুড়িয়ে ফেলা বা চুল ছোট করা। ৭. কোরবানি করা। বহিরাগত হাজীদের জন্য এটা ওয়াজিব। ৮. দুই নামাজ একত্রে পড়া। অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে জোহর-আসর একত্রে এবং মুজদালিফায় মাগরিব-এশা একত্রে পড়া ওয়াজিব। ৯. পাথর মারা (রামি), কোরবানি ও মস্তক মুণ্ডন ক্রমানুসারে করা (কোরবানি ও মস্তক মুণ্ডনের ক্রমধারা লঙ্ঘিত হলেও হজ হয়ে যাবে বলে অনেক ইসলামী বিশেষজ্ঞ অভিমত ব্যক্ত করেছেন)।
হজের ধারাবাহিক কাজ (বাংলাদেশীদের জন্য)
প্রাথমিক কাজ : ১. বিমানে আরোহণের আগে যথাযথ নিয়মে ইহরাম বাধা। ২. বিমান থেকে জেদ্দায় নেমে মক্কায় নির্দিষ্ট বাড়িতে বা অবস্থানে গিয়ে ব্যাগ রেখে হাজত (প্রাকৃতিক প্রয়োজন) সেরে অজু করে মোয়াল্লেমের মনোনীত লোকের সাথে খানায়ে কাবা (কাবাঘর) গমন। ৩. প্রাথমিক তওয়াফ করা। সাতবার কাবা ঘরের চতুর্দিকে ঘুরতে হবে। কাবাঘরের হজরে আসওয়াদ যে কোনায় স্থাপিত সেখান থেকে হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করে, সম্ভব না হলে হজরে আসওয়াদের দিকে হাত ইশারা করে সে হাতের ওপর চুম্বন করে তওয়াফ শুরু করতে হবে। ৪. সাত চক্করের প্রথম তিন চক্করে একটু দ্রুত চলে শক্তি প্রদর্শন করতে হবে। এটাকে ‘রমল’ বলে। তাওয়াফের সময় পুরুষের গায়ের চাদর ডান হাতের নিচ দিয়ে এনে বাম কাঁধে রাখতে হবে যেন ডান কাঁধ ও বাহু বের হয়ে থাকে। এটাকে ইজতেবা’আ বলে। এ দু’টি তাওয়াফের সুন্নত যা তাওয়াফে জিয়ারতেও করতে হবে। অতিরিক্ত ওমরার তাওয়াফেও তা করতে হয়। ৫. সাফা-মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে দৌড়াতে হবে সাতবার। শুরু করতে হবে সাফা থেকে, সপ্তমবার শেষ হবে দৌড় মারওয়ায়। ৬. এরপর মাথা মুড়াতে হবে বা চুল ছাঁটতে হবে। ৭. এর পরে মূল হজের কয়েক দিন বাকি থাকলে ইহরাম ছেড়ে স্বাভাবিক পোশাক পরা যাবে, মোয়াল্লেমের মনোনীত লোকের সাথে মদিনায়ও যাওয়া যেতে পারে। মূূল হজের আগে ইহরাম ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাকে হজে তামাত্তু বলে। সাধারণত আমাদের দেশের হাজী সাহেবরা এ হজেরই নিয়ত করে থাকেন।
মূল কাজ
হজের মূল কাজ শুরু হয় ৮ জিলহজ, শেষ হয় ১২ জিলহজ। এ পাঁচ দিনের কাজগুলো সচেতনতার সাথে যথার্থভাবে আদায়ের চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে চারটি ফরজ ও ওয়াজিবগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
৮ জিলহজের কাজ
ক. এই দিন নিজ কামরায় অথবা কাবাঘরে বসে হজের ইহরাম বেঁধে মক্কা শরিফ থেকে মোয়াল্লেমের ব্যবস্থাপনায় অথবা নিজস্ব উদ্যোগে (মোয়াল্লেম না থাকলে) ‘মিনায়’ (মক্কার কাছাকাছি একটি উপশহর) পৌঁছাতে হবে। খ. এখানে ওই দিন জোহর, আসর, মাগরিব, এশা এবং পরের দিনের ফজর (মোট পাঁচ ওয়াক্ত) নামাজ আদায় করতে হবে।
৯ জিলহজের কাজ
ক. সকালে মিনা থেকে রওনা হয়ে আরাফাতের প্রান্তরে পৌঁছতে হবে। এখানে জোহর ও আসর একত্রে পড়তে হবে। খ. খুতবার পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত তালবিয়া, তাহমিদ, দোয়া-দুরুদ, ইসতেগফার ও আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করতে হবে। গ. সূর্যাস্তের পর মাগরিব না পড়েই মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হতে হবে। মাগরিবের ওয়াক্ত চলে গেলেও, রাত গভীর হলেও মুজদালিফায় পৌঁছার পরেই মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে পড়তে হবে। মাগরিবের ওয়াক্ত চলে যায় এ বিবেচনায় কোনোক্রমেই যাত্রাবিরতি করে মাগরিব পড়া যাবে না। মুজদালিফায় পৌঁছেই মাগরিব ও এশা পড়াটাই হজের আহকাম। ঘ. এ রাতে (৯ তারিখের দিবাগত রাত) মুজদালিফায় বিশ্রাম নিতে বা ঘুমাতে হবে। ফজর পড়ে সূর্যোদয়ের আগে আবার মিনার উদ্দেশে যাত্রা করতে হবে। মুজদালিফা প্রান্তর থেকে ন্যূনতম ৪৯টি পাথর (ছোট) সাথে আনতে হবে।
১০ জিলহজের কাজ
ক. মুজদালিফা থেকে রওনা হয়ে মিনা পৌঁছতে হবে। খ. এদিন কেবল শয়তানের বড় স্তম্ভে (জুমরাতে উকবা) ৭টি পাথর মারতে হবে। অন্য স্তম্ভগুলোতে এদিন পাথর মারা যাবে না। গ. (জামরাতে) পাথর মারার পর কোরবানির নির্দিষ্ট নিয়মে একটি কোরবানি করতে হবে। এদিন ক্ষতিপূরণমূলক কোরবানি (দম) করা যাবে এবং একাধিক নফল কোরবানি করারও সুযোগ রয়েছে। ঘ. কোরবানি করার পর মাথা মুড়াতে হবে অথবা চুল ছাঁটতে হবে। ঙ. এদিন এসব কাজ সমাধা করার পর ফরজ তওয়াফ বা তওয়াফে জিয়ারত করতে হবে। অবশ্য ভিড় এড়ানোর জন্য এ তাওয়াফ ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত বিলম্বিত করা যেতে পারে। ১২ তারিখ সকালে তিনটি স্তম্ভে পাথর মেরে মিনা থেকে চূড়ান্তভাবে বিদায় হয়ে মক্কা শরিফে এসেও এ ফরজ তাওয়াফের সুযোগ রয়েছে। এর আগে করলে আবার পাথর মারার জন্য মিনায় ফিরে যেতে হবে।
১১ জিলহজের কাজ
শয়তানের তিনটি স্তম্ভে সাতটি করে (৭´৩)=মোট ২১টি পাথর মারতে হবে।
১২ জিলহজের কাজ
তিনটি স্তম্ভে আবার সাতটি করে (৭´৩)=মোট ২১টি পাথর মারতে হবে। এভাবে পাথর মারার সংখ্যা হবে ১০ জিলহজ ৭টি+১১ জিলহজ ২১টি +১২ জিলহজ ২১টি = মোট ৪৯টি। তাওয়াফে জিয়ারত ১০ বা ১১ তারিখ না করলে এদিন অবশ্যই সূর্যাস্তের আগে সমাধা করতে হবে। ১১ ও ১২ তারিখে পাথর মারার সময় ছোট থেকে বড় স্তম্ভের দিকে যেতে হবে। ১২ তারিখের পর একজন হাজী সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। ১০ জিলহজ মাথা মুণ্ডনের পরই ইহরাম অবস্থার অবসান হয়। তবে তাওয়াফে জিয়ারতের (ফরজ তাওয়াফ) আগে স্ত্রী সহবাস জায়েজ হবে না।
শেষ কাজ : ১. হজের আগে মদিনায় না গেলে এখন মদিনায় গিয়ে আট দিন অবস্থান করতে হবে এবং মসজিদে নববীতে (৮´৫)=মোট ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। উল্লেখ্য, মদিনায় গমন করা হজের আহকামের অংশ নয়। তবে বিনা ওজরে মদিনা না যাওয়া রাসূল সা:-এর সাথে বেয়াদবি। ২. হজের পরে মক্কা শরিফে অবস্থান করলে তখন একাধিক ওমরা করা যেতে পারে। হজ শেষ হওয়ার আগে বেশি ওমরা না করাই উত্তম। কারণ কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে মূল হজই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ৩. বিমান ছাড়ার দিন-ক্ষণ নির্দিষ্ট হয়ে গেলে বিদায়ের আগে বিদায়ী তাওয়াফ করা। এটা একেবারে শেষ কাজ। এটা ওয়াজিব।
কোন মন্তব্য নেই